শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন
বাংলা নিউজডে ডেস্ক : আন্দোলন, সংগ্রাম, গুজব, ডেঙ্গুসহ নানা ইস্যুতে বছর জুড়ে সরগরম ছিলো ২০১৯ সাল।মহাকালের গর্ভে হারিয়ে গেল আরও একটি বছর।
বুধবার ভোরে উদিত হবে নতুন সূর্য। পুরানো সকল আনন্দ-বেদনা কালের মহাস্রোতে হবে ইতিহাস। বিদায়ী ২০১৯ সাল আমাদের জাতীয় জীবনে ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়া ২০১৯ সালে আমাদের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষাক্ষেত্রে একটি ঘটনাবহুল বছর ছিল। জাতীয় জীবনে এসেছে নানা দুর্ভোগ, এসেছে উত্থান পতন।
নতুন বছরে অতীতে সকল দুঃখ-বেদনা ভুলে নতুনভাবে এগিয়ে যেতে চান সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ। তাই সবার একটাই প্রত্যাশা নতুন বছরটি যেন ভালো যায়। বিশ্বের নানা প্রান্তে বর্ণিল আয়োজনের মধ্যে উদযাপিত হচ্ছে খ্রিষ্টীয় বর্ষবরণ।
এদিকে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ২০২০ সালকে বরণ করে তাসমান সাগরের পাড়ের দেশ নিউজিল্যান্ড। বর্ণিল আলোকচ্ছটার মধ্য দিয়ে ২০২০ কে স্বাগত জানায় দেশটি। নিউজিল্যান্ডের পরপরই নতুন বছর বরণ করে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
উল্লেখ্য আন্তর্জাতিক সময় মানের সব থেকে কাছাকাছি অবস্থান তাই প্রতিবার নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড শহর সর্বপ্রথম বর্ষবরণের সুযোগ পায়। ঘড়ির কাঁটায় ১২টা বাজতেই উল্লাসে মেতে ওঠেন নিউজিল্যান্ডবাসী।
এর আগে দেশ বিদেশ থেকে আসা কয়েক লাখ মানুষ ভিড় জমায় অকল্যান্ডের ৩শ ২৮ মিটার দীর্ঘ স্কাই টাওয়ারে। বছর শুরুর চোখ ধাঁধানো রঙিন আতশবাজি আর লেজার শো’তে মন্ত্রমুগ্ধ সবাই।
সেই সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের পরপরই নতুন বছর বরণ করার পালা অস্ট্রেলিয়ার। সিডনিতে বরাবরের মতোই আতশবাজির আলোকচ্ছটা দেখতে বহু মানুষের সমাগম ঘটে। সুরের তালে তালে অন্যতম আকর্ষণীয় আতশবাজির মধ্য দিয়ে ২০২০ কে স্বাগত জানানো হয়।
তবে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হংকংয়ে থেমে ছিল না বর্ষবরণ উদযাপন। অস্থিতিশীল পুরোনো বছরকে বিদায় আর ২০২০কে স্বাগত জানাতে ভিক্টোরিয়া হারবারে জমকালো আতশবাজিতে মেতে ওঠেন হংকংবাসী।
এছাড়াও তাইওয়ানে নতুন বছর বরণ উপলক্ষ্যে আতশবাজির আয়োজন করা হয় তাইপেই টাওয়ারে। দেশে দেশে ২০২০ সালকে বরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সারা বিশ্বে বর্ণিল আয়োজনের মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করা হলেও। বাংলাদেশে নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও রাজধানীতে আনন্দ আয়োজনে বরণ করা হলো খ্রিষ্টীয় নতুন বছর ২০২০ কে। রাত বারোটা এক মিনিটে আতসবাজির আলো আর মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে রাজধানীবাসী বরণ করলো নতুন বছরকে।
খোলা জায়গায় বর্ষবরণের অনুষ্ঠান পালনের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেকস্থানেই আতসবাজি ও ফাসুন উড়িয়ে নতুন বছরকে বরণ করা হয়। রাজধানী জুড়ে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব। গতকাল পুরো নগরীকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়।
এবার নিরাপত্তার জালে থেকেই এবার থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন ও নতুন বর্ষকেবরণ করলো করলো ঢাকাবাসী।
আমেরিকা, বাংলাদেশ এবং বিশ্বের সর্বশেষ খবরের জন্য বাংলা নিউজডের ওয়েবসাইটে আসুন এবং আমাদের Bangla Newsday ফেসবুক পৃষ্ঠাটি সাবস্ক্রাইব করুন।